খবরাখবর

খবর শুধু খবরের কাগজে বা নিউজের পর্দায় নয়। একটু মনন নিয়ে চারিদিকে তাকালেই অনেক খবর।

পাঁচ বছর আগে দুম করে সাংবাদিকতা ছেড়ে দেওয়ার সময় অনেকের প্রশ্ন ছিল এবার কি করবি?? আসলে ভালো লাগছিল না, যে আদর্শ থেকে সাংবাদিকতা করতে গিয়েছিলাম, ক্রমশ বুঝছিলাম সেই জায়গাটা আর থাকছে না। সময়ের গড্ডালিকায় সংবাদের ভাষা বয়ে গেছে, বয়ে গেছে সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। সবকিছুই খুব ফাঁপা-অন্তসারহীন ও অপ্রয়োজনীয়। কাজটা করতে আর ভালো লাগছিলো না। কর্মজীবন শুরুর দিকে শিক্ষা আর পরে স্বাস্থ্য বিটে কাজ করেছিলাম। দুটো জায়গার সমস্যাই জানতাম, কিন্তু বেশি করে দরকারই মনে হতো স্বাস্থ্যবিট টাকে। সব সময় মনে হতো স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যা প্রয়োজনীয়; তা নেই আমাদের। সময় গেলে আরো স্পষ্ট হয়েছিল 'স্বাস্থ্য' বাজারে পরিণত হচ্ছে ক্রমশ। আর জনস্বাস্থ্যের অবহেলা নিয়ে শুধুমাত্র ডাক্তারি বিদ্যের বইয়ের পাতায়।

এরপর কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয়। শুরু হয় অন্য জীবন। মাঠে নেমে, একেবারে কাছ থেকে জীবনকে নেড়েচেড়ে ছুঁয়ে দেখা। হাতে কলমে শেখা। কেউ কেউ প্রশ্ন দেয়, কি হবে?? কিছু পাল্টাতে পারবে? নাকি যা যা প্রয়োজন তা সবকিছুর ব্যবস্থা করতে পারবে? বিশ্বাস করুন সত্যি কিছু পারি না। মনের হাজার ইচ্ছে সত্বেও কিচ্ছুটি পাল্টাতে পারি না। এই শহরে দাঁড়িয়েও এখনো বাচ্চাদেরকে হাঁটু জল পেরিয়ে স্কুলে যেতে দেখি, নোংরায় বসে মানুষের বাচ্চার সঙ্গে শুয়োরের বাচ্চার খেলা দেখি, বাচ্চার শরীরের চেয়েও নিত্য দিনের উপার্জনকে জিতে যেতে দেখি প্রতিদিন। দেখি ছয় বছরের দিদির ভাই কোলে শৈশব খুন হতে। খিদের তাড়ণায় কিশোরী মেয়ের সম্মান বিকোতে। দেখি, শুধু দেখি, পোড়া চোখের দেখার ক্ষিদে মেটে না।

আমার খবরাখবরের সেকশনে থাকবে, কিছু দৈনিক পত্রিকায় স্বাস্থ্য বিষয়ে ছাপা আমার কিছু লেখা। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে এই অংশে দৈনিক নতুন খবর পোস্ট করা হবে, যে খবরগুলো সাধারণ বাজারের দৈনিক পত্রিকায় জায়গা পায় না।

স্বাস্থ্য বিষয়ে দৈনিক পত্রিকায় আমার কিছু লেখা

Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Image
Popup Image
ঝাড় গ্রামে শবর মৃত্যু
(পিয়ালী দে বিশ্বাস)

পূর্ণপানি গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুর ২নং ব্লকে । কিছুদিন আগেই সে গ্রামে ৭ জন শবরের মৃত্যু গ্রামটিকে খবরের শিরনামে এনেছিল। এ পি ডি আর-এর নৈহাটি শাখার এক তদন্তদল গ্রামটির প্রকৃত অবস্থা দেখতে গিয়েছিল ২ সপ্তাহ আগে। গ্রাম ঘুরে তাঁরা অনুভব করেছিলেন স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ওই জায়গায় একটি মেডিক্যাল টিমের যাওয়া উচিত। গত ২৭ নভেম্বর ৪ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পূর্ণপানিতে ।

সন্তান সান্নিধ্যে সুস্থতার আশায় জীবন্মৃতকে চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছেন ডাক্তার

ছয় মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি এক জীবন্মৃত মহিলা, তাঁর পরিবারের সদস্যদের যত্ন নেওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে বাড়ি পাঠানো হল তাঁকে। একি হসপিস কেয়ার, নাকি হাসপাতালের বেড খালি করার প্রয়াস? লিখছেন পিয়ালী দে বিশ্বাস। সঙ্গে হসপিস সম্বন্ধে সম্পাদকীয় সংযোজন করা হয়েছে।