দেশে ১০ থেকে ১৯ বছরের কিশোরীদের ড্রপ- আউটের সংখ্যা বেড়েছে কোভিড পরবর্তী সময়ে। সরকারি পরিসংখ্যান
বলছে প্রাইমারি স্কুলে থাকাকালীন ১.৪ শতাংশ ,আপার প্রাইমারিতে ৩.৩ শতাংশ এবং সেকেন্ডারি শিক্ষায়
১২.৩ শতাংশ কিশোরী ড্রপ আউট হচ্ছে। মূলত অপুষ্টি, যৌন শিক্ষাহীনতা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য
সংক্রান্ত সমস্যা এর পেছনে অনেকভাবপ দায়ী। ১০ থেকে ১৯ বছরের এই সময়টা মানসিক, বৌদ্ধিক এবং শারীরিক
বিকাশের সময়। কিন্তু এদেশে দারিদ্রতা, বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়া, প্রেগনেন্সি, স্কুলের থেকে
দূরত্ব, শিক্ষকের খারাপ ব্যবহার, পড়াশোনা বুঝতে না পারা, নিরাপত্তার অভাব ইত্যাদি নানা কারণে
কিশোরীরা স্কুল বা কলেজ থেকে ড্রপ আউট হয়। সেই কারণেই কিশোরী মেয়েদের স্বাস্থ্যের উপর সরকারের আরো
বেশি বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। যাতে তাদের মানসিক, বৌদ্ধিক এবং শারীরিক বিকাশ সঠিকভাবে গড়ে ওঠে। এবং
তারা সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে নিজেদেরকে মেলে ধরার সুযোগ পায়।