ব্যক্তিগত তথ্য
পড়াশোনা :-
বাবার চাকরি সূত্রে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় থেকেছি। সেই সুবাদে ছোটবেলা থেকে ছ'টি স্কুলে পড়াশোনা করার সুযোগ হয়েছে। শেষে বারাসাত গভর্মেন্ট কলেজে বাংলায় স্নাতক হয়েছি (২০০৭)। স্নাতকোত্তর (বাংলা) রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (২০০৯)। এরপর জর্জ টেলিগ্রাফ থেকে সাংবাদিকতা, পাবলিক রিলেশনস ও মাস কমিউনিকেশন নিয়ে পড়াশোনা (২০১০)। তবে এক জীবনে কি আর শেখা শেষ হয়! এখন আমার শেখার জগত আমার ফিল্ড - জনস্বাস্থ্য।
শৈশব থেকে কৈশোর কেটেছে উত্তর ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে। একদিকে ইছামতি অন্যদিকে কাঁসাই নদীর পাড়ে। মানুষ হিসেবে যা শেখা তা তো নদী আর প্রকৃতির কাছেই।
পেশাগত অভিজ্ঞতা
সাংবাদিকতা :-
২০০৯ থেকে সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। এর আগেও নানা ধরণের কাজ করেছি। পেশার শুরুতে প্রথমে অডিও ভিজুয়াল ও পরে প্রিন্ট মিডিয়াতে চাকরি। এন.ই. বাংলার প্রোডাকশন হাউজ থেকে 'কলম পত্রিকা'-র জার্নিটা মসৃণ ছিল না। কিন্তু দারুণ উপভোগ্য ছিল।
সাধারণ মানুষের সমস্যাকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায় আমার সাংবাদিকতার জীবনে। অনেক বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাকে বর্ণনা করতে শিখি। মানুষকে বুঝতে শিখি।
চলার পথ বদলে যায় ২০১৯ থেকে। শুরু থেকে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন হলেও এইসময়ে ঘটা কিছু ঘটনা ও মানুষের সংস্পর্শে এসে আক্ষরিক অর্থেই রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ হয়। এই সময়পর্ব থেকেই মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার কাজ ছেড়ে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করি। আসলে স্বাস্থ্য বীটের সাংবাদিকতা করতে গিয়েই জনস্বাস্থ্যর বিষয়ে আগ্রহ জন্মায়। কোভিড পিরিয়ডের সময় থেকে #UNICEF - এর নানা প্রজেক্টে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে শুরু করি।
জনস্বাস্থ্যের কাজ :-
জনস্বাস্থ্যের বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটা আমাদের দেশে এখনো সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। এই বিষয়টাকে খুব কম জনই গুরুত্ব দেয়। অথচ জনস্বাস্থ্যের ছোট ছোট মাপকাঠি পূরণের মধ্যে দিয়েই আমরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক বড় সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারি। তাই, জনস্বাস্থ্যের কাজটা সক্রিয়ভাবে করে যাওয়ার চেষ্টা করি।